হেঁচকি থেকে মুক্তির উপায় ও কারণ

হেঁচকি থেকে মুক্তির উপায় ও কারণ
হেঁচকি থেকে মুক্তির উপায় ও কারণ

হেঁচকি একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা সাধারণত ক্ষতিকর নয় এবং কিছু সময় পরে নিজে থেকেই চলে যায়। তবে যদি হেঁচকি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তাহলে এর কারণ এবং প্রতিকার জানা জরুরি।

হেঁচকি কেন হয়?

হেঁচকি হওয়ার মূল কারণ হল ডায়াফ্রাম (পেশী যা বুক ও পেটকে আলাদা করে) অনৈচ্ছিকভাবে সংকুচিত হওয়া। এই সংকোচনের ফলে শ্বাসনালী দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় এবং শব্দ সহকারে হেঁচকি ওঠে। এর প্রধান কারণগুলি হল:

  1. দ্রুত খাবার বা পানীয় গ্রহণ।
  2. অতিরিক্ত খাওয়া বা পেট ভরে যাওয়া।
  3. কার্বনেটেড পানীয় বা মশলাদার খাবার খাওয়া।
  4. উত্তেজনা বা মানসিক চাপ।
  5. অ্যালকোহল বা ধূমপান।
  6. পেটে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন (যেমন গরম খাবারের পর ঠান্ডা পানি পান)।

হেঁচকি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:

  1. শ্বাস ধরে রাখা: কিছুক্ষণ শ্বাস ধরে রাখলে ডায়াফ্রাম শিথিল হয় এবং হেঁচকি কমে যায়।
  2. পানি পান করা: ধীরে ধীরে পানি পান করলে হেঁচকি কমতে পারে।
  3. চিনি বা মধু খাওয়া: এক চামচ চিনি বা মধু জিভের নিচে রাখলে হেঁচকি কমে যেতে পারে।
  4. লেবু বা ভিনেগার: এক টুকরো লেবু চুষলে বা এক চা চামচ ভিনেগার খেলে হেঁচকি কমে যায়।
  5. কান টানা: কান টেনে ধরে রাখলে ভেগাস নার্ভ উদ্দীপিত হয়, যা হেঁচকি কমাতে সাহায্য করে।
  6. শান্ত থাকা: মানসিক চাপ কমিয়ে শান্ত থাকলে হেঁচকি দ্রুত চলে যায়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

যদি হেঁচকি ৪৮ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় বা বারবার হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যেমন গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যা বা অন্যান্য শারীরিক অবস্থা।

সাধারণত হেঁচকি কোনো বড় সমস্যা নয়, তবে যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে, তাহলে উপরের পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করে দেখুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *